ধারাবাহিক - সুজিত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়



ধারাবাহিক


এক কিশোরীর রোজনামচা - ৪
সুজিত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়






Diary Entry - 02




15th. June, 1942, Monday.

আমার জন্মদিনের পার্টি হয়েছিল রবিবার সন্ধ্যে বেলায়। সেদিন বাড়িতে বসেই আমরা অনেকে মিলে “Light House Keeper” সিনেমাটা দেখেছিলাম। শুধু আমরা বাড়ির লোকেরাই নয়, আমার স্কুলের বন্ধুরাও ছিল। তারাও আমাদের সাথে একসাথে সিনেমাটা দেখেছিল, এবং উপভোগও করেছিল। এককথায় সবার সাথে ওই দিনটা আমাদের খুব ভাল কেটেছিল। শুধু মেয়ে বন্ধুরাই নয়, আমার আনেক ছেলে বন্ধুও এসেছিল। সব কিছু দেখে, মায়ের শুধু একটাই চিন্তা, এ’দের মধ্যে কাকে আমি বিয়ে করব বা করতে চাই। আমার মনে হয়, তাঁর একটা আবছা অনুমান হল, আমি এদের মধ্যে পিটার ওয়েসেল-কেই বেশী পছন্দ করি। মায়ের অনুমান শুনে আমি অন্ততঃ তাৎক্ষনিক অপ্রতিভ হওয়া থেকে বা আরক্তিম “চোখ কাঁপানো” থেকে নিজেকে সচেতনভাবে বিরত রেখেছিলাম। এতে আর কিছু না’হোক মা, তার মন থেকে অন্ততঃ এই চিন্তা বা প্রত্যাশাটাকে ঝেড়ে ফেলতে পারবে। কারণ মা জানে না, গত কয়েক বছর ধরে লীস গুসেনস আর স্যানী হাউট্ম্যান এই দুজনেই আমার বেশ কাছের বন্ধু হয়ে উঠেছে। এ’ছাড়াও ইহুদী উচ্চ বিদ্যালয়ের জোপী ডি ওয়ালের সাথেও আমার আলাপ ও বন্ধুত্ত হয়েছে। এমনকি, ইতিমধ্যে আমরা ক্রমেই পরস্পরের ঘনিষ্ট বন্ধুও হয়ে উঠেছি। এদের মধ্যে জোপী-ই আমার সব থেকে প্রিয় মেয়ে বন্ধু। লীসের আবার অন্য একটি মেয়ের সাথে ঘনিষ্টতা হয়েছে। আমাদের মধ্যে আবার স্যানী নামের মেয়েটি আমাদের স্কুল ছেড়ে অন্য একটি স্কুলে ভর্তি হয়েছে। সেখানে নিশ্চয় তার আরও অনেক নতুন নতুন বন্ধু হয়েছে। 


অটো ফ্র্যাঙ্ক তাঁর স্ত্রী এডিথ ও তাঁদের দুই কন্যা 
অ্যানি ও মারগট। 




টীকা -



পিটার ওয়েলস - অ্যানির স্কুলের ছেলে বন্ধু। লীস গুয়েনস, স্যানী হাউট্ম্যান - দুজনেই অ্যানির স্কুলের বন্ধু। জোপী ডি ওয়াল - অ্যানির স্কুলের মেয়ে বন্ধু।স্যানী - অ্যানির স্কুলের বন্ধু ছিল। সম্প্রতি সে পুরানো স্কুল ছেড়ে নতুন স্কুলে ভর্তি হয়েছে।

5 comments:

  1. সরল অথচ অকপট লেখা।জীবনটাকে কত সহজ ভাবে দেখত মেয়েটা।

    ReplyDelete
  2. লেখাটা পড়লে ভাল লাগবেই। তবে ভিতরের যন্ত্রণাটাকে বুঝতে হবে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটার সাথে আএকমত।

      Delete
  3. ধন্যবাদ। লেখার উন্নতি কোন অবকাশ থাকলে জানালে উপকৃত হব।

    ReplyDelete